Posts

Showing posts from May, 2017

মেঘ থম থম করে কেউ নেই নেই

মেঘ থম থম করে কেউ নেই নেই জল থৈ থৈ করে কিছু নেই নেই ভাঙ্গনের যে নেই পারাপার তুমি আমি সব একাকার।। কোথায় জানি না কি ছিল যে কোথায় সীমানা পেরিয়ে সব মিশে যেতে চায় আধারের যে নেই পারাপার তুমি আমি সব একাকার।। পুরনো সব নিয়ম ভাঙ্গে অনিয়মের ঝড় ঝড়ো হাওয়া ভেঙ্গে দিও মিথ্যে তাসের ঘর নুতন মাটিতে আসে ফসলেরই কাল আধার পেরিয়ে আসে আগামী সকাল রাত ঘুম ঘুম ঘোরে জাগে ঐ রোদ ঝলমল করে দেখ ঐ বাতাসের যে নেই হাহাকার পথ নেই যে পথ হারাবার।।

বিমূর্ত এই রাত্রি আমার

বিমূর্ত এই রাত্রি আমার মৌনতার সুতোয় বোনা একটি রঙ্গিন চাদর। সেই চাদরের ভাজে ভাজে নি:শ্বাসেরই ছোঁয়া। আছে ভালবাসা , আদর। কামনার গোলাপ রাঙা সুন্দর এই রাত্রিতে নীরব মনের বর্ষা , আনে শ্রাবণ , ভাদর। সেই বরষায় ঝড়ো ঝরে নি:শ্বাসেরই ছোঁয়া। আছে ভালবাসা , আদর। ঝরে পড়ে ফুলেরমত মিষ্টি কথার প্রতিধ্বনি , ছড়ায় আতর , যেন ছড়ায় আতর। পরিধিহীন শংকামুখি নির্মল অধর কম্পন কাতর , কম্পন কাতর। নিয়ম ভাঙ্গার নিয়ম এ যে থাক না বাধার পাথর। কোমল আঘাত , প্রতি-আঘাত , রাত্রি নিথর কাতর। দূরের আর্তনাদের নদীর ক্রন্দন কোন ঘাটের ভ্রূক্ষেপ নেই , পেয়েছি আমি আলিঙ্গনের সাগর। সেই সাগরের স্রোতেই আছে নি:শ্বাসেরই ছোঁয়া , আছে ভালবাসা , আদর।

একখানা মেঘ ভেসে এল আকাশে

একখানা মেঘ ভেসে এল আকাশে একঝাঁক বুনোহাঁস পথ হারালো একা একা বসে আছি জানালা পাশে সেকি আসে আমি যারে বেসেছি ভালো। এলোমেলো হাওয়া চোখে স্বপ্ন আনে শরমে রাঙে মন কেন কে জানে ভালোবেসে চুপি চুপি দিয়েছে দোলা একমুঠো অনুরাগে মন ভরালো।। আমি এক যোগ্য মহানগরীর যারে ডাকি কেন তার পাইনা সাড়া চোখে তাই ঝরঝর বৃষ্টি ধারা ছায়া ছায়া নিভু নিভু আলোর রেখা এসময়ে ভালো আর লাগেনা একা বাতাসের হাতে আজ পেলাম চিঠি বিরহের কথা মেঘ লিখে পাঠালো।।

এই বৈশাখ জলন্ত অরুন

এই বৈশাখ জলন্ত অরুন এই বৈশাখ দুরন্ত তরুন পুরোনো কতো শত নব বরষের খসে পড়ে যাওয়া মুল্যবোধের সমাধি খুড়ে খুড়ে হাড়গোড় বের করে অস্ত্রবানিয়ে তবে লয় নিশ্বাস কেউ বুঝি হেসে হেসে শোষন সেনানীর করছে বিনাশ।। পুরোনো বোশেখ ক্লান্ত ছিলো   পুরোনো চিন্তা শান্ত ছিলো   এবার বোশেখ যেন মাতাল দুরন্ত স্থির করেছে এক তরুন দুরন্ত মৃত্যুকে সখা ভেবে রাঙ্গিয়ে ফাগুন বৈশাখে উকি দেয় নিঠুর শকুন।। দেশের মাটিতে তার দুরচরণ আছে কালো কালো কেশ যেন ছুয়েছে আকাশ দুই বাহু মেলে সে ছিড়ে আনে তারা কণ্ঠে যুক্তির মুক্ত প্রকাশ আকাশ ঢালে নব নব বারিধারা বাজে ঢোল নাচে দুরন্ত তরুন।। “ভুপেন হাজারিকা”

আমায় একজন সাদা মানুষ দাও যার রক্ত সাদা

D# আমায় একজন সাদা মানুষ দাও যার রক্ত সাদা আমায় একজন কালো মানুষ দাও যার রক্ত কালো যদি দিতে পার প্রতিদান যা কিছু চাও হোক অমূল্য পেতেই পার!!! উত্তরমেরু হতে দক্ষিণমেরু যত মানুষ আছে পশ্চিম হতে ওই পুর্ব দিগন্তে মানুষ আছে একই রক্ত মাংসে গড়া, প্রেমপ্রীতিতে হৃদয় ভরা সেই মানুষে কেনো তোমরা ভিন্ন করো??? ভেদা-বেদ সৃষ্টি করো......!!! জন্ম হতে ওই মৃত্যুবধি তুমি হিসাব করো এই পৃথিবীর ধর্ম যত তুমি বিচার করো দেখবে সেথায় একই কথা উর্দ্ধে সবার মানবতা সেই কথাটাই বলে সবাই বড়াই করো আবার কেনো লড়াই করো ??? এই দুনিয়া হয় নিঃসৃষ্টি, স্রষ্টা ছাড়া একই সুর্যের আলোয় সবার দৃষ্টি ভরা একই মেঘ আর বৃষ্টিতে আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টিতে সকল মানুষ বেঁচে আছি যদি ধরো। তবে কেনো গরব করো ???

বিস্তির্ণ দুপাড়ের অসংখ্য মানুষের

বিস্তির্ণ দুপাড়ের অসংখ্য মানুষের হাহাকার শুনেও নিঃশব্দে নীরবে ও গঙ্গা তুমি গঙ্গা বইছো কেন।। নৈতিকতার স্খলন দেখেও মানবতার পতন দেখেও নির্লজ্জ অলস ভাবে বইছো কেন সহস্র বরষার উন্মাদনার মন্ত্র দিয়ে লক্ষ জনেরে সবল সংগ্রামী আর অগ্রগামী করে তোল না কেন।। জ্ঞানবিহীন নিরক্ষরের খাদ্য বিহীন নাগরিকের নেত্রী বিহনতায় মৌন কেন সহস্র বরষার উন্মাদনার মন্ত্র দিয়ে লক্ষ জনেরে সবল সংগ্রামী আর অগ্রগামী করে তোল না কেন।। ব্যক্তি যদি ব্যক্তি কেন্দ্রিক সমষ্টি যদি ব্যক্তিত্ব রহিত তবে শিথিল সমাজকে ভাঙ্গনা কেন সহস্র বরষার উন্মাদনার মন্ত্র দিয়ে লক্ষ জনেরে সবল সংগ্রামী আর অগ্রগামী করে তোল না কেন।। স্রোতষিনী *** **** তুমি নিশ্চয় জান্নবী নও তাহলে প্রেরণা দাও না কেন উন্মত্তধরার কুরুক্ষেত্রের শরশয্যাকে আলিঙ্গন করা লক্ষ কোটি ভারতবাসীকে জাগালে না কেন।।

আমি এক যাযাবর

D# আমি এক যাযাবর, আমি এক যাযাবর পৃথিবী আমাকে আপন করেছে, ভুলেছি নিজের ঘর।। আমি গঙ্গার থেকে মিসিসিপি হয়ে ভলগার রূপ দেখেছি অটোয়ার থেকে অস্ট্রিয়া হয়ে প‌্যারিসের ধূলো মেখেছি আমি ইলোরার থেকে রং নিয়ে দূরে শিকাগো শহরে দিয়েছি গালিবের শের তাশখন্দের মিনারে বসে শুনেছি মার্ক টোয়েনের সমাধিতে বসে গোর্কির কথা বলেছি বারে বারে আমি পথের টানেই পথকে করেছি ঘর তাই আমি যাযাবর, তাই আমি যাযাবর।। বহু যাযাবর লক্ষ্যবিহীন, আমার রয়েছে পণ রঙের খনি যেখানে দেখেছি, রাঙিয়ে নিয়েছি মন আমি দেখেছি অনেক গগনচুম্বী অট্টালিকার সারি তার ছায়াতেই দেখেছি অনেক গৃহহীন নরনারী আমি দেখেছি অনেক গোলাপ-বকুল, ফুটে আছে থরে থরে আবার দেখেছি না ফোটা ফুলের কলিরা, ঝরে গেছে অনাদরে প্রেমহীন ভালোবাসা বেসে বেসে, ভেঙ্গেছি সুখের ঘর।। পথের মানুষ আপন হয়েছে, আপন হয়েছে পর তাই আমি যাযাবর, আমি এক যাযাবর।।

শরৎ বাবু, খোলা চিঠি দিলাম তোমার কাছে

শরৎ বাবু, খোলা চিঠি দিলাম তোমার কাছে তোমার গফুর মহেষ এখন কোথায় কেমন আছে তুমি জানো না হারিয়ে গেছে কোথায় কখন তোমার আমিনা শরৎ বাবু এ চিঠি পাবে কিনা জানি না আমি।। গেল বছর বন্যা হলো এ বছরে খরা খেতে ফসল ভাসিয়ে নিলো মাঠ শুকিয়ে মরা এক মুঠো ঘাস পায় না মহেষ দুঃখ ঘোচে না তুমি জানো না।। বর্গিরা আর দেয় না হানা নেই তো জমিদার তবু কেন এদেশ জুড়ে নিত্য হাহাকার জেনেছো দেশ তো স্বাধীন আছে ওরা বেশ তোমার গফুর আমিনা আর তোমারই মহেষ এক মুঠো ভাত পায় না খেতে গফুর আমিনা তুমি জানো না।।

দোলা হে দোলা হে দোলা হে দোলা

দোলা হে দোলা হে দোলা হে দোলা আঁকা-বাঁকা পথে মোরা কাঁধে নিয়ে ছুটে যাই রাজা মহারাজাদের দোলা, ও দোলা আমাদের জীবনের ঘামে ভেজা শরীরের বিনিময়ে পথ চলে দোলা, হে দোলা হেইয়ানা হেইয়ানা হেইয়ানা হেইয়া।। দোলার ভিতরে ঝলমল করে যে সুন্দর পোষাকের সাজ আর ফিরে ফিরে দেখি তাই ঝিকমিক করে যে মাথায় রেশমের তাজ হায় মোর ছেলেটির উলঙ্গ শরীরে একটুও জামা নেই খোলা দু’চোখে জল এলে মনটাকে বেঁধে যে তবুও বয়ে যায় দোলা হে দোলা।। যুগে যুগে ছুটি মোরা কাঁধে নিয়ে দোলাটি দেহ ভেঙ্গে ভেঙ্গে পরে হো পরে। ঘুমে চোখ ঢুলু ঢুলু রাজা মহারাজাদের আমাদের ঘাম ঝরে পড়ে হো পড়ে উঁচু ঐ পাহাড়ে ধীরে ধীরে উঠে যাই ভালো করে পায়ে পা মেলা হঠাৎ কাঁধের থেকে পিছলিয়ে যদি পড়ে আর দোলা যাবে নাকো তোলা রাজা মহারাজার দোলা বড় বড় মানুষের দোলা ও দোলা আঁকা-বাঁকা পথে মোরা কাঁধে নিয়ে ছুটে যাই রাজা-মহারাজাদের দোলা হে দোলা হে দোলা হে দোলা হে দোলা।।

গঙ্গা আমার মা পদ্মা আমার মা

গঙ্গা আমার মা পদ্মা আমার মা ও ও তার দুই চোখে দুই জলের ধারা মেঘনা যমুনা।। একই আকাশ একই বাতাস এক হৃদয়ের একই তো শ্বাস। দোয়েল কোয়েল পাখির ঠোটে একই মুর্ছনা। ও ও তার দুই চোখে দুই জলের ধারা মেঘনা যমুনা।। এপার ওপার কোন পাড়ে জানি না ও আমি সব খানেতে আছি গাঙ্গের জলে ভাসিয়ে ডিংগা ও আমি পদ্মাতে হই মাঝি শংখ চিলের ভাসিয়ে ডানা ও আমি দুই নদীতে নাচি একই আশা ভালবাসা কান্না হাসির একই ভাষা। দুঃখ সুখের বুকের মাঝে একই যন্ত্রনা ও ও তার দুই চোখে দুই জলের ধারা মেঘনা যমুনা।।

দিমির দিমির তানা না না

Cm দিমির দিমির তানা না না প্রেম মানে না কোন মানা ও.. কালো কি রুপসী যা হোক আহারে ঘুরেফিরে শুধু মনে হয় তারে উচু কি নিচু তার জাত নেই তো জানা ঘুম পেলে যেমন কেউ ভাঙ্গা খাট মানে না।। আরো শোন প্রেমে অভিমান হলে পিরিতি গভীর হয় সব লোক বলে তৃষিত মন আকুল দরশন বীনা পিয়াসী পাগল যেমন ধোবিঘাট মানেনা।। যদি কখোনো বা মনে ভাব যাগে একটু কাছে পেতে বড় ভালো লাগে সুজন কি কুজন সে যে জনই হোক না দারুন ক্ষুধা যেমন এটো ভাত মানেনা।। “ভূপেন হাজারিকা”

মানুষ মানুষের জন্য C

মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু….।। মানুষ মানুষকে পণ্য করে মানুষ মানুষকে জীবিকা করে পুরনো ইতিহাস ফিরে এলে লজ্জা কি তুমি পাবে না? ও বন্ধু………..।। বল কি তোমার ক্ষতি জীবনের অথৈ নদী পার হয় তোমাকে ধরে দূর্বল মানুষ যদি মানুষ যদি সে না হয় মানুষ দানব কখনো হয় না মানুষ যদি দানব কখনো বা হয় মানুষ লজ্জা কি তুমি পাবে না? ও বন্ধু……….।।